দীর্ঘদিন ধরে শুটিং শেষ না হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে আছে দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা নায়িকা শাবনূরের তিন এবং পপি ও পূর্ণিমার দুটি করে ছবি। শাবনূরের ছবি তিনটি হলো- ‘অবুঝ ভালবাসা’, ‘স্বপ্নের বিদেশ’ এবং ‘এমনই তো প্রেম হয়’। পপির ছবি দুটি হলো ‘আদরের ভাই’ ও ‘বৃষ্টির চোখে আগুন’ এবং পূর্ণিমার ছবি দুটি হলো ‘ছায়া-ছবি’ ও ‘টু বি কন্টিনিউড’। এর মধ্যে শাবনূর অভিনীত মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এমনই তো প্রেম হয়’ ছবিটির বাকি কাজ শিগগিরই শেষ হবে বলে পরিচালক জানান। বাকি দুটির বিষয়ে ‘অবুঝ ভালবাসা’ ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুএবং ‘স্বপ্নের বিদেশ’ ছবির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান কোন কিছুই জানাতে পারেননি। ‘অবুঝ ভালবাসা’ ছবির প্রযোজক নাজিম উদ্দিন চেয়ারম্যানের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ছবিটির ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত। ‘স্বপ্নের বিদেশ’ ছবির লন্ডন প্রবাসী প্রযোজক এবং এ ছবির দ্বিতীয় নায়ক আড়ালে চলে গেছেন। ছবির প্রধান নায়ক শাকিব খান। পূর্ণিমা অভিনীত ‘ছায়া-ছবি’ নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। পূর্ণিমা-আরেফিন শুভ জুটির প্রথম ছবিটি দীর্ঘদিন যাবৎ রহস্যজনক কারণে আলোর মুখ দেখছে না। আরেক ছবি ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘টু বি কন্টিনিউড’র কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের এ ছবিতে পূর্ণিমার নায়ক তাহসান। এটি ছিল পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমিরও প্রথম ছবি। গত তিন বছরেও ছবিটি কেন শেষ হয়নি এ প্রশ্ন অনেকেরই। শাবনূর, পপি ও পূর্ণিমা তিনজনই দেশীয় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রকে তারা যেমন দিয়েছেন তেমনি পেয়েছেনও। ব্যক্তিগত কারণে শাবনূর ও পূর্ণিমা চলচ্চিত্র থেকে রীতিমতো হারিয়ে গেলেও পপি এখন পর্যন্ত আছেন বেশ কিছু ছবি নিয়ে। এসব ছবির মধ্যে ‘পৌষ মাসের পিরিতি’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’, ‘দি ডিরেক্টর’ উল্লেখযোগ্য। এসব ছবি মুক্তি পেলে এবং নতুন কোন ছবির কাজ শুরু না হলে পপিকেও শাবনূর-পূর্ণিমার মতো আড়ালে চলে যেতে হবে। বর্তমানে চলচ্চিত্র এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহারে বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের অবস্থা করুণ। এই দুঃসময়ে শাবনূর-পূর্ণিমার যেমন আগ্রহ নেই সিনেমার প্রতি, তেমনি প্রযোজক পরিচালকদেরও আগ্রহ নেই তাদের ব্যাপারে। পপির বিষয়টা রহস্যজনক। নায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সেই অনুযায়ী ছবি নেই হাতে। শাবনূর, পপি ও পূর্ণিমা যদি সত্যি সত্যি চলচ্চিত্র থেকে চলে যান তাহলে দর্শকপ্রিয় সিনেমা নির্মাণ হবে কাদের নিয়ে। ভাল ছবির জন্য মৌসুমী, নিপুণ আছেন, সম্ভাবনা তৈরি করেছেন মাহিয়া মাহি, আঁচল, ববি ও পরীমনি। এদের পাশাপাশি শাবনূর, পপি ও পূর্ণিমা থাকলে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যই মঙ্গল হতো বলে এ মাধ্যমের বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন। এখন প্রযোজক, পরিচালক এবং উল্লেখিত শিল্পীরা কি করেন সেটাই সবার দেখার বিষয়।
Leave a Reply